Breaking News
Home / Secureward Blog / সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট হতে গেলে যে প্রশ্ন গুলোর উত্তর আপনাকে জানতেই হবে

সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট হতে গেলে যে প্রশ্ন গুলোর উত্তর আপনাকে জানতেই হবে

দিন দিন সাইবার সিকিউরিটি সেক্টরে কাজ করার জন্য মানুষের চাহিদা বেড়েই চলেছে। আর মানুষ সাইবার সিকিউরিটি শেখার জন্য বিভিন্ন সোর্স খুজেই চলেছে। কিন্তু সঠিক এবং ভালমানের সোর্স খুব কম মানুষ ই খুজে পায়। ।

আর আজকে আমি এমন কিছু প্রশ্নের উত্তর দিব যেগুলো সাইবার সিকিউরিটি শিখতে হলে এই প্রশ্নের সম্মুখীন আপনি হবেন এবং সঠিক গাইডলাইন না থাকার দরুন বিভিন্ন জায়গায় আটকে যাবেন। আপনি যদি মনে মনে চিন্তা করেন যে আপনি সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করবেন তাহলে আরটিকেল টি আপনার জন্য। তাহলে বেশি কথা না বলে শুরু করা যাক।

হ্যাকারওয়ান কি?

What is Kali Linux? কালি লিনাক্স কি?

cyber security 1
cyber security

বাংলাদেশে থেকে কিভাবে সাইবার এক্সপাট হবো? কম্পিউটার সাইন্স এ পড়াশোনা না করে ও কি সার্টিফিকেট সাইবার এক্সপাট হওয়া যায়?

সাইবার এক্সপাট হওয়ার জন্য আপনাকে প্রচুর কষ্ট করতে হবে,,আপনি বিভিন্ন অনলাইন বা অফলাইনে course করতে পারে। আর সাইবার সিকিউরিটি তে চাকরি করতে চাইলে ইন্টারন্যাশনাল সারটিফিকেট ছাড়া অন্য সারটিফিকেটর তেমিন ভেলু নেই। সারটিফিকের চাইতে আপনার স্কিল বেশি জরুরি।

সাইবার এক্সপাট হওয়ার জন্য আপনি কোন বিভাগে লেখাপড়া করেন সেটা খুব একটা কাজে দেয় নাহ। এই জায়গায় স্কিল টা বেশি জরুরি।
পাইথন ল্যাংগুয়েজ টা শেখার চেষ্টা করুন আর পাশাপাশি সাইবার এক্সপাট নিয়ে বিভিন্ন ব্লগ পড়েন। আর চাইলে আমার ওয়েবসাইটএর ব্লগ সেকশন দেখতে পারেন

সার্টিফিকেট কিভাবে নিব?

সাইবার সিকিউরিটি expert হিসেবে সবচাইতে মূল্যবান ইন্টারন্যাশনাল সারটিফিকেট হচ্ছে OSCP এরা অনলাইনের মাধ্যমে এক্সাম নেয়,,
তাদের এক্সামে টিকলেই সারটিফিকেট পাবেন, তবে তাদের প্লাটফর্ম এ এক্সাম দিতে হলে আপনাকে অনেক টাকা খরচ করতে হবে + আপনাকে প্রচুর জানতে হবে,, এরজন্য আমি মনে করি মিনিমান ৩ বছর সাইবার সিকিউরিটির উপর কাজ করতে হবে,,
এবং নিয়মিত আপনাকে আপডেট হতে হবে,, প্রতিনিয়ত যে বাগ বের হচ্ছে সেই গুলো আপনাকে জানতে হবে প্যাকটিস করতে হবে

কেন আপনার অন্যদের তুলনায় একটু আলাদা কনফিগারেশনের কম্পিউটার দরকার?

সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট হতে হলে আপনার কম্পিউটারে অনেক ভারি ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করা লাগবে। যেমন ধরুন ওয়েবসাইট পেনেট্রেশন টেস্ট বা অন্যন্য এটাকের জন্য আপনার
অনেক ভারি টুলস ব্যবহার করা লাগবে । এছাড়া ও এক সাথে অনেক গুলা অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা লাগবে এবং এক সাথে অনেক টুলস রান করতে হবে।

আবার অনেক সময় প্রোগ্রামিং করে নিজের টুলস নিজেকেই বানাতে হয় এবং সেটা রান করতে হয় আর এই সব কাজ এক সাথে করতে গেলে কম্পিউটারে অনেক লোড পরে । আপনার কম্পিউটারের লোড ধারন ক্ষমতা কম হলে সেটি বন্ধ ও হয়ে যেতে পারে।
আর মূলত এর জন্যই আপনার একটু আলাদা কনফিগারেশনের কম্পিউটার দরকার।

কেমন কনফিগারেশনের কম্পিউটার আপনি ব্যবহার করবেন তা নিয়ে পরে আলোচনা করবো।

অধিকাংশ মানুষ বলে সাইবার সিকিউরিটি এক্সপাট হতে গেলে গ্রোগ্রামিং জানতে হয়।

১. উঃ প্রোগ্রামিং কেনো জানতে হবে?

ধরুন আপনি একটি বাসায় চুরি করবেন। এবং আপনার সামনে বাসায় ঢোকার জন্য কোনো দরজা নেই, দরজা ব্যাবহার করতে গেলে ধরা পরে যাবেন।

এখন বাসার চার সাইড এ চারটা দেয়াল আছে এবং প্রত্তেকটা দেয়াল আলাদা আলাদা কাঠ এর তৈরি। এখন কোন কাঠ সহজে ভাঙতে পারবেন এটা জানার জন্য আপনার প্রথমত কাঠগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে এবং কোন কাঠ কিভাবে কাটলে সহজে এবং কম সময়ে আপনি বাসাতে প্রবেশ করতে পারবেন সেই সম্পর্কে অবশ্যই আপনার ধারণা থাকতে হবে।

এখন আপনি এটিকে টেকনিক্যাল ভাবে ভেবে দেখুন। বিভিন্ন সফটওয়্যার তৈরি করতে গেলে আপনার প্রয়োজন বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যাবহার করে আপনার সফটওয়্যার তৈরি করবেন এবং সেগুলো কে সুরক্ষিত করবেন যাতে কেও সফটওয়্যার এর ক্ষতি করতে অর্থাৎ হ্যাক করতে না পারে।

সফটওয়্যার এর মধ্যেকার এই সিকিউরিটি গুলো হলো দেয়াল। যা সফটওয়্যার কে সুরক্ষিত রাখে এবং এটি তৈরি হয় প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ দ্বারা। এখন এটির বাইপাস করতে গেলে আপনাকে এটির খুটিনাটি জানতে হবে

এখন আপনার যদি ব্যবহৃত কাঠ বা প্রোগ্রামিং ভাষা জানা না থাকে তাহলে ত আপনি অই সিস্টেমের ধারনা পাবেন না? উচ্চ মানের সাইবার এক্সপাট হতে গেলে আপনাকে অবশ্যই প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ জানতে হবে।
আর আপনি যদি বিগিনার লেভেলের শুরু করতে চান তাহলে অন্যের বানানো টুলস ব্যবহার করা লাগবে।

২. উঃ

এখন বলি কিভাবে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর মাধ্যমে এক্সেস নেয়া হয়ে থাকে?

এবারে ধরুন আপনি বুঝে গেছেন কোন দেয়াল টা ভাঙলে তুলনামুলক সহজে আপনি বাসার ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন। এখন আপনাকে‌ রোজ সকালে উঠে ১০ বার করে লাঠির আঘাত অতঃপর লোহার রড দিয়ে ১০ বার আঘাত অতঃপর এবং পাথর দিয়ে ১০ বার আঘাত করতে হবে এবং এটি ৩০ দিন‌ করতে হবে।

এটি রোজ রোজ করতে অনেক সময় এবং শ্রম ব্যায় হবে। তাই আপনি এমন একটা রোবট তৈরি করলেন যে এই কাজ গুলো রোজ অটোমেটিক্যালি এই কাজগুলো সম্পন্ন করবে যথা সময়ে। এর দরুন আপনার কাজ অনেক দ্রুত অটোমেটিক হয়ে যাবে।

What is Kali Linux? কালি লিনাক্স কি?

What is virtualization? Vmware কি ভাবে ইন্সটল করবো?

সবশেষ কথা হচ্ছে

যারা নিজেই নিজের ব্যবহৃত টুলস বানায় আমার মতে তারাই আসল হ্যাকার। বিভিন্ন প্লাটফর্মএ আপনি মারাত্মক লেভেলের কাজ করে এমন টুলস ফ্রিতে খুব কম ই পাবেন আর পেলেও সেগুলো আপনার কম্পিউটার এ তেমন কাজ করবে নাহ,,
আর উপরোক্ত কারনেই অন্যের টুলস মডিফাই করা এবং নিজের প্রয়োজনীয় টুলস বানানোর জন্য প্রোগ্রামিং এর নূন্যতম ধারনা থাকা দরকার।

About admin

Check Also

Find the Right Programming Jobs Without a Degree – The Best Way to Get Started

Do you have a degree in computer science? If so, congratulations! Now get to work. …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *