কিভাবে আপনার সোসাইল একাউন্ট ১০০% নিরাপদ রাখবেন?

আসলে এখন সাইবার হামলার ঘটনা প্রায়ই ঘটে চলেছে। বিভিন্ন বড় বড় ব্যাংক একাউন্ট থেকে শুরু করে সোসাইল একাউন্ট ও এখন ঝুকির মুখে পড়েছে। ডিজিটাল যুগে আমরা যেমন অনেক সুবিধা পেয়েছি ঠিক তেমনি ভাবে অসুবিধা ও অনেক।

বিভিন্ন সাইবার এক্সপাট রা ও নতুন নতুন টেকনিক দিয়ে এখন হামলা চালাচ্ছে। সময়ের সাথে সাথে তাদের টেকনিক গুলা ও আপডেট হচ্ছে। তাই এই সময়ে আপনি আপনার সোসাইল একাউন্টের নিরাপত্তা নিয়ে
না ভাবলে সামনে বিপদে পড়তে পারেন

সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট হতে গেলে যে প্রশ্ন গুলোর উত্তর আপনাকে জানতেই হবে

হ্যাকারওয়ান কি(HackerOne)

facebook safe method
facebook safe method

আপনি ত সাধারন মানুষ, স্পেশাল কেউ নন তারপর ও কেন আপনি তাদের টার্গেট হবেন?

আসলে ডিজিটাল যুগের পরিপেক্ষিতে আপনার মনে এই ধরনের প্রশ্ন আসাটাই স্বাভাবিক। তাহলে একটি প্রতিবেদন বলি যেটা শুনে আপনার চোখউপরে উঠে যাবে। এক গবেষনায় দেখা গেছে প্রতিদিন প্রায় ছয় লক্ষ সোসাইল মিডিয়া একাউন্ট সাইবার হামলার স্বীকার হচ্ছে ,

আপনি আরো জেনে অবাক হবেন যে তারা কেউই স্পেশাল মানুষ বা সেলিব্রেটি নয় তারা আপনার আমার মতই সাধারন মানুষ। আসলে সাইবার সিকিউরিটি এক্সপাট রা তারা তাদের কাজের প্যাকটিস করার জন্য এমন করে , আর কারো উপর আক্রোশ থাকলে ত কথায় নেই।

এবার আসি ফেসবুকেঃ
ফেসবুক হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জনপ্রিয় মাধ্যম । দিন যত যাচ্ছে এর ব্যবহারকারির সংখ্যা ততই বাড়ছে। বিভিন্ন সাইবার হামলা থেকে নিজের একাউন্ট বাচাতে হলে আপনাকে কিছু টেকনিক অবলম্বন করতে হবে

কি কি মেথডে আপনার শখের একাউন্ট এক্সেস নেয়া হতে পারে আগে সে গুলো জানুন তারপরে এর থেকে বাচার উপাই আপনি নিজেই বুঝবেন

পিশিংঃ অনেক আগে অন্যের ফেসবুক একাউন্ট এক্সেস নেয়ার জন্য পিশিং লিংক বানানো হত এবং অই লিংকে ক্লিক করার সাথে সাথে হুবহু ফেসবুকের মতই দেখতে ওয়েবসাইট আপনার সামনে চলে আসত। আপনি পিশিং লিংক এর ব্যাপারে অবগত না হওয়ার কারনে উক্ত ওয়েবসাইট এ আইডি পাসওয়াড দিয়ে যখন ই লগিন করতে যেতেন ঠিক তখন ই আপনার আইডি পাসওয়াড অন্যের কাছে চলে যেত।

এটির মাধ্যমে ভিকটিম কে বোকা বানিইয়ে যে কোন ভাবেই লিংকে ক্লিক করানো হত। ২০২০ সালের পরের থেকে পিশিং লিংক ব্যবহার করে একাউন্ট হাতিয়ে নেয়া অনেক কমে গেছে এর মূল কারন হচ্ছে আমরা আগের তুলনার এখন বেশি সিকিউরিটি নিয়ে অবগত। এই ডিজিটাল যুগে আমরা আর আগের মত বোকা নই। আপনার সাথে কোন এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানান, হতে পারে আপনার কমেন্ট পড়ে একজন মানুষ এই ব্যাপারে আর ও ভাল অবগত হবে।

ব্রুটফোসঃ আপনার ফেসবুকের পাসওয়াড অনেক সহজ হওয়ার কারনে খুব সহজেই এটি আন্দাজ করে আপনার শখের আইডিতে লগিন করতে পারে।অনেক নিজের ফেসবুকের নাম এবং পাসওয়াড একই রাখে তাছাড়া ও ১২৩৪৫৬ এই ধরনের রাখে যেটি গেস করা অনেক সহজ। তার আপনার অজান্তেই বিপত্তি ঘটে। তাছাড়া ও নিজের ফেমিলি মেম্বারের নাম এবং জন্মতারিখের সাথে মিলিয়ে অনেকে পাসওয়াড দেয় যেটি খুব সহজেই গেস করা সম্ভব।

এ ক্ষেত্রে অসাধু চক্র আপনাকে নিয়ে একটা ইনফরমেশন কালেক্ট করে তারপরে তারা তাদের বানানো টুলস দিয়ে আপনার একাউন্ট এর উপরে হামলা করে যদি তাদের বানানো পাসওয়াড লিস্টে আপনার কাংক্ষিত পাসওয়াড থাকে তাহলে খুব সহজেই তারা এক্সেস পেয়ে যায়। এখন এটির থেকে বাচার উপাই আপনি নিজেই আমাদের কমেন্ট বক্সে লিখুন।

কি লগারঃ সাইবার বুলিং এর আরেকটি জনপ্রিয় পদ্ধতির নাম হচ্ছে কি লগার ।এটি একটি নজরদারি প্রযুক্তি। এটি কম্পিউটারের প্রতিটি কি স্ট্রোক করে রাখে এবং হ্যাকারের কাছে তা পাঠিয়ে দেয়। কোনো কোনো কি লগার ত নিদিষ্ট সময় পর পর স্কিন শট নিয়ে তা হ্যাকারের কাছে পাঠায়। কি লগার বানানোর উদ্দেশ্য ছিলো ভালো কাছে ব্যবহার করা। যেমন অফিসের লোকজনের প্রতি নজরদারি করা,, ছেলে মেয়েদের উপর নজরদারি করা।


কিন্তু এটি ভালো কাছে ব্যবহারের পাশাপাশি খারাপ কাছে ও ব্যবহার করা হয়। কোন ভাবে যদি একবার আপনার কম্পিউটার বা মোবাইল এ এটি ডুকিয়ে দিতে পারে তাহলে অটোমেটিক আপনি কোন জায়গায় লগিং করছেন কোন ইউজার নেম দিচ্ছেন কোন পাসওয়াড দিচ্ছেন তা অপর পক্ষকে আপনারঅজান্তেই পাঠিয়ে দিবে।

আপনি যদি আনটাস্টেড সাইট থেকে সফটোয়্যার বা এপ ডাওনলোড করে ব্যবহার করেন তাহলে আপনি এই ধরনের হামলার স্বীকার হতে পারেন। তাছাড়াও ক্র্যাক সফটওয়ার ব্যবহার করলে ও এই ধরনের হামলার স্বীকার হতে পারেন।

ব্রাউজার হুকঃ অনেক সময় আপনি বিভিন্ন গনমাধ্যমে শুনে থাকবেন যে, অনেক সময় অপরিচিত কেউ একটা লিংক দিসে জাস্ট অই লিংকে প্রেস করার সাথে সাথেই সব অন্যের নিয়ন্ত্রনে চলে গেছে । এটি মূলত ব্রাউজার হুক করার মাধ্যমে হয়ে থাকে ।

অনেকেই ডিভাইস এ একবার ব্রাউজার ইন্সটল করার পরে আর কখন ও আপডেট করে না , সময়ের সাথে সাথে দেখা যায় যে আপনি যে ভারশনের ব্রাউজার ব্যবহার করছেন সেটির ভালনাবিরিটি বের হয়েছে আর এজন্যই আপনার ব্রাউজারের সিকিউরিটি আপডেটের জন্য আপনার ব্রাউজার আপডেট চাচ্ছে কিন্তু আপনি অলসতার বসে বার বার সেটি রিমাইন্ট মি লেটার করে দিচ্ছেন। উক্ত সুবিধা নিয়ে কেউ একজন আপনার ক্ষতি করতে পারে।

তাহলে কি কি দাড়ালো সাইবার হামলা থেকে বাচতে আপনি যা যা করবেন

(১) আনট্রাস্টেড লিংক এ ক্লিক করবেন না।
(২) আপনার পাসওয়াড অবশ্যই আনকমন কিছু দিবেন যেটা আপনার ফেসবুক ইনফমেশনের সাথে মিলে না। পাসওয়াড এ অবশ্যই স্পেশাল ক্যারেক্টার এড করবেন যেমনঃ !@#%&*()_+ এই ধরনের ।
(৩) আপনার ব্যক্তিগত ইনফরমেশন অন লি মি করে রাখবেন বিশেষ করে ডেট অফ বাথ।
(৪) ট্রাস্টেড জায়গা থেকে এপ বা সফটওয়্যার ডাওনলোড করে ব্যবহার করবেন।
(৫) আপনার ব্রাউজার টি নিয়মিত আপডেট রাখার চেষ্টা করবেন।
(৬) আনট্রাস্টেড কোন এপ এ আপনার ফেসবুক আইডি দিয়ে লগিন করবেন না।
(৭) টু স্টেপ ভেরিফিকেশন অন রাখবেন।

আরো অনেক মেথড আছে সেগুলো নিয়ে পরে আলোচনা হবে ইনশাআল্লাহ

ফেসবুক আইডি রিমেম্বারিং কি? কি ভাবে করা হয়?

ফেসবুক গত কয়েক বছর আগে একটি ফিচার চালু করেছে তা হচ্ছে ফেসবুক রিমেম্বারিং। কেউ মারা গেলে তার প্রোফাইলে ডুকলে সেটা রিমেম্বারিং দেখাবে। কে কে আপনার আইডি রিমেম্বারিং করতে পারবে সেটি সেটিং থেকে ম্যানুয়ালি সেট করা যায়। আপনি আপনার ফেন্ড লিস্ট থেকে কয়েকজন ফেন্ডকে সিলেক্ট করে দিতে পারবেন।
এখন আসি এটি কি ভাবে করা হয়:
অনেক সময় দেখা যায় মানুষ জীবিত থাকতে ও তার আইডি বা ফেসবুক পেইজ রিমেম্বারিং দেখাচ্ছে, এটি করার জন্য কিছু কতিপয় লোক টারগেট আইডির বিভিন্ন ইনফমেশ কালেক্ট করে যেমন ডেট অফ বাথ।
উক্ত ইনফরমেশন দিয়ে মিথ্যা একটা ডেড সারটিফিকেট বানায় তারপর টারগেট আইডি বা পেইজ এর এগেইন্সটে সাবমিট করে। ফেসবুক এই টা কে সত্য হিসেবে ধরে নিয়ে আইডি রিমেম্বারিং করে দেয়।

রিমেম্বারিং থেকে বাচার উপাইঃ

কিভাবে মোবাইল(Mobile) এবং কম্পিউটার(Computer) হ্যাক হয়???

What is virtualization? Vmware কি ভাবে ইন্সটল করবো?

রিমেম্বারিং থেকে বাচার উপাইঃ
(১) আপনার ডেট অফ বাথ প্রাইভেসি থেকে অনলি মি করে রাখেন।
(২) ম্যানুয়ালি সিলেক্ট করে রাখেন কে কে আপনার প্রোফাইল এর এগেইন্সটে ডেড সারটিফিকেট সাবমিট করতে পারবে।

ফেসবুক আইডি ডিজেবল হওয়ার হাত থেকে বাচার উপাইঃ
আপনার ফেসবুকে অনেক সময় অনেকে রিপোট করে সেটির কারনে ডিজেবল হতে পারে বা আপনার এক্টিভিটিস এর উপর ডিপেন্ড করে ও ডিজেবল হতে পারে। উক্ত সমস্যায় যাতে না পরেন সে জন্য করনীয়
(১) আপনার ফেসবুক আইডির নাম আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের সাথে মিল রেখে খুলবেন।
(২) আপনার ফেসবুক আইডির ডেট অফ বাথ আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের সাথে মিল রেখে খুলবেন।
(৩) কোন এডাল্ট কিছু ফেসবুকের মাধ্যমে শেয়ার করবেন না।
(৪) কাউকে হেয় করা বা গালি দেয়ার শব্দ বেশি ব্যবহার করবেন না
(৫) প্রোফাইল পিকচারে অবশ্যই আপনার নিজের পিক দিবেন।
(৬) আপনার প্রোফাইল ১০০% কম্পিলট করে রাখবেন।
আপনি আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন হতে পারেন

About The Author

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top